সেভিয়াকে হারিয়ে আবারো চ্যাম্পিয়ন বার্সা

শরীফ মাসুদুর রহমান (সৈকত) – জোড়া গোল করলেন লুইস সুয়ারেস। জালে বল পাঠানোর পাশাপাশি সতীর্থদের গোলে অবদান রাখলেন লিওনেল মেসি। আলো ছড়ালেন আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা ও ফিলিপে কৌতিনিয়োরা। দলও পেল দাপুটে জয়। সেভিয়াকে উড়িয়ে টানা চতুর্থবারের মতো কোপা দেল রের চ্যাম্পিয়ন হলো বার্সেলোনা। শনিবার রাতে ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানোর ফাইনালে ৫-০ গোলে জেতে বার্সেলোনা। প্রথমার্ধে তিনবার জালে বল পাঠিয়ে জয়-পরাজয়ের হিসেব অনেকটাই শেষ করে দেয় বার্সেলোনা। দ্বিতীয়ার্ধেও প্রতিপক্ষের উপর চাপ ধরে রেখে একচেটিয়া জয় তুলে নেয় তারা। ১৪তম মিনিটে শুরুটা করেন সুয়ারেস। দারুণ এক পাল্টা আক্রমণে ডি-বক্সের মধ্যে ডান দিক থেকে ফিলিপে কৌতিনিয়োর গোলমুখে বাড়ানো বল নিখুঁত টোকায় ঠিকানায় পাঠান উরুগুয়ের স্ট্রাইকার। ৩১তম মিনিটে আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার সঙ্গে একবার বল দেওয়া নেওয়া করে পাস দেন জর্দি আলবা। প্রথম ছোঁয়ায় জোরালো শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আর্জেন্টাইন তারকা মেসি। ৪০তম মিনিটে আরেকটি পাল্টা আক্রমণে মেসিকে বল বাড়িয়ে দ্রুত ছুটে যান সুয়ারেস। পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলারের চমৎকার ফিরতি পাস পেয়ে ডি-বক্সে ঢুকে নীচু শটে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোলটি করেন সুয়ারেস। দ্বিতীয়ার্ধের সপ্তম মিনিটে উৎসবে যোগ দেন ইনিয়েস্তা। মেসির সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়ার মাঝে ক্ষিপ্র গতিতে ডি-বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে কাটিয়ে দুরূহ কোণ থেকে দলের চতুর্থ গোলটি করেন স্প্যানিশ এই মিডফিল্ডার। ৬৯তম মিনিটে সফল স্পট কিকে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে সব অনিশ্চয়তার ইতি টেনে দেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার কৌতিনিয়ো। ডি-বক্সের মধ্যে ফরাসি ডিফেন্ডার ক্লেম লংলের হাতে বল লাগলে পেনাল্টিটি পায় বার্সেলোনা। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সেভিয়ার বিপক্ষে এই নিয়ে মোট আটটি ফাইনাল খেলে সাতটিতে জিতল কাতালান ক্লাবটি। এগিয়ে গেল ঘরোয়া ‘ডাবল’ জয়ের পথে। লা লিগায় নিজেদের শেষ পাঁচ ম্যাচের একটিতে জিতলেই চ্যাম্পিয়ন হবে এরনেস্তো ভালভেরদের দল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*