সিয়াম বা রোজা সম্পর্কিত কোরআন ও হাদীস শরীফের বিবরণ।

নারায়ণগঞ্জ বাণী ইসলামিক নিউজঃ কোরআন শরীফের বিবরণ
রমজান মাস সম্পর্কে আল্লাহ্পাক কোরআন মজিদে এরশাদ করেছেন-

‫ﯾَﺎ أَﯾﱡﮭَﺎ اﻟﱠﺬِﯾﻦَ آﻣَﻨُﻮاْ ﻛُﺘِﺐَ ﻋَﻠَﯿْﻜُﻢُ اﻟﺼﱢﯿَﺎمُ ﻛَﻤَﺎ ﻛُﺘِﺐَ ﻋَﻠَﻰ‬
‫ أَﯾﱠﺎﻣًﺎ ﻣﱠﻌْﺪُودَاتٍ ﻓَﻤَﻦ‬ড় َ‫اﻟﱠﺬِﯾﻦَ ﻣِﻦ ﻗَﺒْﻠِﻜُﻢْ ﻟَﻌَﻠﱠﻜُﻢْ ﺗَﺘﱠﻘُﻮن‬
َ‫ﻛَﺎنَ ﻣِﻨﻜُﻢ ﻣﱠﺮِﯾﻀًﺎ أَوْ ﻋَﻠَﻰ ﺳَﻔَﺮٍ ﻓَﻌِﺪﱠةٌ ﻣﱢﻦْ أَﯾﱠﺎمٍ أُﺧَﺮ‬
َ‫وَﻋَﻠَﻰ اﻟﱠﺬِﯾﻦَ ﯾُﻄِﯿﻘُﻮﻧَﮫُ ﻓِﺪْﯾَﺔٌ ﻃَﻌَﺎمُ ﻣِﺴْﻜِﯿﻦٍ ﻓَﻤَﻦ ﺗَﻄَﻮﱠع‬
ْ‫ﺧَﯿْﺮًا ﻓَﮭُﻮَ ﺧَﯿْﺮٌ ﻟﱠﮫُ وَأَن ﺗَﺼُﻮﻣُﻮاْ ﺧَﯿْﺮٌ ﻟﱠﻜُﻢْ إِن ﻛُﻨﺘُﻢ‬
‫ ﺷَﮭْﺮُ رَﻣَﻀَﺎنَ اﻟﱠﺬِيَ أُﻧﺰِلَ ﻓِﯿﮫِ اﻟْﻘُﺮْآنُ ھُﺪًى‬ড় َ‫ﺗَﻌْﻠَﻤُﻮن‬
ُ‫ﻟﱢﻠﻨﱠﺎسِ وَﺑَﯿﱢﻨَﺎتٍ ﻣﱢﻦَ اﻟْﮭُﺪَى وَاﻟْﻔُﺮْﻗَﺎنِ ﻓَﻤَﻦ ﺷَﮭِﺪَ ﻣِﻨﻜُﻢ‬
ٌ‫اﻟﺸﱠﮭْﺮَ ﻓَﻠْﯿَﺼُﻤْﮫُ وَﻣَﻦ ﻛَﺎنَ ﻣَﺮِﯾﻀًﺎ أَوْ ﻋَﻠَﻰ ﺳَﻔَﺮٍ ﻓَﻌِﺪﱠة‬
َ‫ﻣﱢﻦْ أَﯾﱠﺎمٍ أُﺧَﺮَ ﯾُﺮِﯾﺪُ اﻟﻠّﮫُ ﺑِﻜُﻢُ اﻟْﯿُﺴْﺮَ وَﻻَ ﯾُﺮِﯾﺪُ ﺑِﻜُﻢُ اﻟْﻌُﺴْﺮ‬

“হে ইমানদারগণ। তোমাদের প্রতি সিয়াম (রোজা) ফরজ করা হয়েছে যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীদের প্রতিও ফরজ করা হয়েছিলো, যাতে তোমরা পাপ থেকে নিজেদেরকে নিবৃত্ত রাখতে সক্ষম হও। কয়েকটি দিন মাত্র। অতএব, তোমাদেও মধ্যে কেউ যদি অসুস্থ হয় (সিয়াম পালনে অক্ষম হয়) কিংবা সফরে থাকে তবে সে অন্য সময়ে গণনা করে সিয়াম আদায় করে নিবে। আর যারা সিয়াম পালনে অপারগ হবে, তারা একজন নিঃস্ব ব্যক্তিকে ফিদ্য়া (খাদ্য) দান করবে। তবেরোজা রাখাই উত্তম যদি তোমরা রোজার মর্যাদা সম্পর্কে সংবাদ রাখো। রমজান মাস, যে মাসে আল কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে, মানুষের জন্য হেদায়েত স্বরূপ। তাতে রয়েছে প্রকাশ্য প্রমাণসমূহ যা হেদায়েত ও সমাধান দানকারী। অতএব, তোমাদের মধ্যে যদি কেউ এ মাসের সাক্ষাৎ পায়, সে যেনো সারা মাস রোজা রাখে। আর যদি কেউ অসুস্থ কিংবা মোসাফির হয় তবে সে অন্য সময়ে আদায়করে নিবে। আল্লাহ্পাক তোমাদের ব্যাপারে সহজ পন্থা অবলম্বন করতে চান এবং তোমাদের সঙ্গে কঠোরতা কামনা করেন না। আর যাতে তোমরা রোজার পরিমাণ পূর্ণ করতে পারো। (আর এই রোজা তোমাদের প্রতি এ কারণে ফরজ করা হয়েছে যে) যাতে তোমরা হেদায়েত প্রাপ্তির পর আল্লাহ্্তায়ালার মহত্ব বর্ণনা করতে পারো। কেননা হেদায়েত তো তিনিই অনুগ্রহ করে দিয়েছেন সুতরাং তোমরা যেনো আল্লাহ্তায়ালারই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো।
-সূরা আল বাকারা, ১৮৩-১৮৫।

হাদিস শরীফের বিবরণ
হাদিস শরীফে রোজা, রোজাদার এবং রমজান মাস সম্পর্কে বহুবিচিত্র ফজিলতের আছে। হাদিসসমূহ নীচে উল্লেখ করা হলোঃ এক আদম সন্তানের প্রতিটি নেক আমলই দশগুণ থেকে সাতশত গুণ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়া হয়। কিন্তু রোজার ব্যাপারটি ভিন্ন। আল্লাহ্পাক বলেন, রোজা শুধু আমার জন্য। সুতরাং আমি নিজে তার বিনিময় দান করবো। আমার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সে পানাহার ছেড়েছে। প্রবৃত্তির আকাঙ্খা পরিত্যাগ করেছে। রোজাদারদের জন্য দুটি আনন্দের সময় আছে। একটি ইফতারের সময় আরঅপরটি প্রভু প্রতিপালকের সঙ্গে সাক্ষাতের সময়। রোজাদারদের মুখের গন্ধ আল্লাহ্তায়ালার কাছে মিশকের চেয়েও বেশী পছন্দনীয়। -বোখারী, মুসলিম।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

x

Check Also

পবিত্র রমজান মাসের

যেনে নিন রমজানে সরকারি ও বেসরকারি অফিস সমুহের সময়সূচি

নারায়ণগঞ্জ বাণী২৪.কমঃ আসন্ন রমজান মাসে সরকারি ও বেসরকারি অফিস সমুহের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ৪-৫ এপ্রিল শুরু হবে রহমত,বরকত ও নাজাতের মাস” মাহে রমজান”।